কাগজে-কলমে লিগের সেরা দল। জাতীয় দলের একাধিক খেলোয়াড় আছে স্কোয়াডে। কিন্তু কোথায় যেন একটা বেসুরো আওয়াজ ছন্দপতন ঘটাচ্ছিল সবকিছু। সর্বশেষ দুটি ম্যাচ জিততে পারেনি বন্দর নগরের এই আবাহনী। রহমতগঞ্জের কাছে ২-০ গোলে হারের পর আরামবাগের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র; জয় যেন অধরা বস্তুতে পরিণত হয়েছিল তাদের। দুই ম্যাচের ব্যর্থতায় অনেক উলট-পুরাণও হয়েছে। বরখাস্ত হয়েছেন সার্বিয়ান কোচ জোসেফ পাভলিক ও সহকারী কোচ হাসান আল মামুন। কোচ বদলিয়েই কিনা শেষ পর্যন্ত সাফল্য মিলল তাদের। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ফেনী সকার ক্লাবের বিপক্ষে ১-০ গোলে স্বস্তির এক জয় মিলেছে চট্টগ্রাম আবাহনীর।
ম্যাচের ৬৬ মিনিটে উইঙ্গার জাহিদ হোসেন স্বস্তির সুবাতাস ছড়িয়ে দেন চট্টগ্রাম আবাহনী শিবিরে। একটি সংঘবদ্ধ আক্রমণ থেকে সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন দারুণভাবে। এর আগে ম্যাচে পূর্ণ আধিপত্য বিস্তার করেও গোলের দেখা মিলছিল না। হাইতিয়ান স্ট্রাইকার লিওনেল ফেনী সকারের গোলকিপারকে একা পেয়েও দুইবার ব্যর্থ হন। চট্টগ্রাম আবাহনীর অন্য ফরোয়ার্ডরাও ফেনীর রক্ষণে ফাটল ধরাতে পারছিল না। রুবেল মিয়া, সোহেল রানা কিংবা মামুনুল বারবার খেই হারাচ্ছিলেন প্রতিপক্ষের রক্ষণে। হতাশার এক সময়ে জাহিদের গোলটি যেন চট্টগ্রাম আবাহনীর জন্য ঘাম দিয়ে জ্বর নামার মতোই।
জয়ের স্বস্তি ছিল চট্টগ্রাম আবাহনীর ভারপ্রাপ্ত কোচ জুলফিকার মাহমুদ মিন্টুর কণ্ঠেও। খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ৩ পয়েন্ট প্রাপ্তিকেই বড় করে দেখলেন তিনি, ‘এই জয় অবশ্যই স্বস্তির। চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে থাকতে হলে আজ আমাদের অবশ্যই জিততে হতো। আমরা শেষ পর্যন্ত জিতেছি। গোল মিসের কারণে বড় ব্যবধানে জিততে পারিনি, আফসোস হচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত ৩ পয়েন্ট পেয়ে আমি খুশি।’
অষ্টম ম্যাচে পাওয়া চতুর্থ এই জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এল চট্টগ্রাম আবাহনী
আরো জানতে নিচের লিংকে ক্লিক
করুন
https://www.blogger.com/home
0 comments:
Post a Comment