Sunday, October 02, 2016

‘সেঞ্চুরিটা প্রথম ম্যাচেই পাওয়া উচিত ছিল’

একটু ধরে খেললে যে তাঁর ইনিংসটা লম্বা হয়, তামিম নিজেও বুঝতে পারছেন। ছবি: প্রথম আলো
ম্যাচসেরা যে তিনিই হবেন, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ কি ছিল! সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটিতে আজ শুরু থেকেই জ্বলে ওঠার দরকার ছিল বাংলাদেশের, দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে ঠিক তা-ই এনে দিলেন তামিম ইকবাল। সেটিই তো ঠিক করে দিল বাংলাদেশের ১৪১ রানের বিশাল এই জয়ের ভিত্তি। 
তামিম বললেই যে ব্যাটিংয়ের কথা মনে পড়ে, আজ শুরু থেকেই তামিমের ব্যাটে ছিল তেমনই ঝলক। হয়তো ডাউন দ্য উইকেটে এসে ট্রেডমার্ক ছক্কা বা বলে বলে মারতে যাওয়ার প্রবণতা ছিল না। তবে তাতে কী! ১১৮ বলে ১১৮ রানের এই ইনিংসটি ছিল অনেক পরিশীলিত, গোছানো। এই তামিমকে আরও আগে পেলে তাঁর নামের পাশে সেঞ্চুরি সংখ্যা আরও বেশি থাকত সন্দেহ নেই। প্রথম ওয়ানডেতেও তো সেঞ্চুরিটা পেলেন না অল্পের জন্য। মুহূর্তে হঠকারী শট খেলে আউট হয়ে।
প্রয়োজনের সময় পেরেছেন, তবে তাতেও কাটছে না তামিমের সেদিনের আক্ষেপ। ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে এসেই বললেন, ‘শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরিটা এসেছে। তবে প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরিটা পাওয়া উচিত ছিল। তা না হলেও অন্তত তৃতীয় ম্যাচে তো পেয়েছি।’
বলে বলে মারতে যাওয়া নয়, সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে যেভাবে আউট হয়েছিলেন, তেমন বিদঘুটে শটও আজ তেমন দেখা যায়নি তামিমের ব্যাটে। যেভাবে দেখেশুনে বলের যোগ্যতা বুঝে মেরেছেন তামিম, সেটিও প্রশংসা পাওয়ার মতোই। নিজেই বললেন, ‘ব্যাট করার সহজ পিচ ছিল না। বল ব্যাটে আসছিল না। শুরুর দিকে একটু বেশি স্পিন করছিল। আমি তাই সময় নিতে চেয়েছিলাম।’
দ্বিতীয় উইকেটে সাব্বিরের সঙ্গে তাঁর জুটিটাই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের হাইলাইটস। একদিকে তামিম দিয়েছেন নির্ভরতা, অন্যদিকে সাব্বির খেলে গেছেন বিনোদনদায়ী ক্রিকেট। সঙ্গীরও প্রশংসা করলেন তামিম, ‘সাব্বির খুবই রোমাঞ্চকর ​এক খেলোয়াড়। ও পিচে থাকলে আপনার ওপর থেকে চাপ সরিয়ে নেবে। এটা সাহায্য করেছে। তবে ভেবেছিলাম সেও সেঞ্চুরি পাবে।’
সবশেষে আগামী সিরিজে ইংল্যান্ডের জন্যও দিলেন হুঁশিয়ারি, ‘সবাই এই জয়ের পর ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য বেশ উদগ্রীব হয়ে থাকবে। আশা করি সিরিজটা ভালোই হবে।

বিস্তারিত আরো  জানতে  নিচে ক্লিক  করু




Location: Bangladesh

0 comments:

Post a Comment