কোনো বেসরকারি সংস্থা বা ব্যক্তি সংবিধান ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিদ্বেষমূলক বা অশালীন বক্তব্য দিলে বা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে এনজিও ব্যুরো সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থা বা এনজিওর নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে।
এই বিধান রেখে আজ বুধবার সংসদে বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন বিল, ২০১৬ পাস হয়েছে। সংসদ কাজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন মতিয়া চৌধুরী। এর কয়েক দিন পর টিআইবির ‘পার্লামেন্ট ওয়াচ’ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান সংসদকে ‘পুতুলনাচের নাট্যশালা’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। এই মন্তব্যকে ঘিরে সংসদে সমালোচনার ঝড় ওঠে। একপর্যায়ে আইন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি টিআইবিকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানায়।
এই মন্তব্যের পর সংসদীয় কমিটি বিলে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ‘কটাক্ষমূলক মন্তব্য ও অপরাধ’-সম্পর্কিত এই বিধান যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
সংসদে পাস হওয়া বিলে আরও বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে নিষিদ্ধঘোষিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বৈদেশিক অনুদান গ্রহণ করতে পারবে না। বিদেশ থেকে পাওয়া অনুদান যেকোনো তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান নারী, শিশু, মাদক ও অস্ত্র পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এসব ক্ষেত্রে এনজিও ব্যুরো সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাসহ নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে।
এই মন্তব্যের পর সংসদীয় কমিটি বিলে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ‘কটাক্ষমূলক মন্তব্য ও অপরাধ’-সম্পর্কিত এই বিধান যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
সংসদে পাস হওয়া বিলে আরও বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে নিষিদ্ধঘোষিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বৈদেশিক অনুদান গ্রহণ করতে পারবে না। বিদেশ থেকে পাওয়া অনুদান যেকোনো তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান নারী, শিশু, মাদক ও অস্ত্র পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এসব ক্ষেত্রে এনজিও ব্যুরো সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাসহ নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে।
এনজিওতে বিদেশি উপদেষ্টা নিয়োগের ক্ষেত্রেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা ছাড় নিতে হবে। বিদেশি অনুদান একটি নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাবে (মাদার অ্যাকাউন্ট) থাকতে হবে। ব্যয়ের হিসাব অডিট করার পর এনজিও-বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালকের কাছে দিতে হবে। এনজিও-বিষয়ক ব্যুরো এসব বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কার্যক্রম পরিদর্শন, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করবে।
বিলে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ বা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী, সাংসদ, স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে অধিষ্ঠিত ব্যক্তি, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা বা কর্মচারী, এ আইনের অধীন নিবন্ধিত এনজিও বা সংস্থার কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী বৈদেশিক অনুদান গ্রহণ করতে পারবেন না।
0 comments:
Post a Comment