Saturday, October 01, 2016

নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত প্রধানমন্ত্রী




নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর শেষে আজ সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে দেশে ফিরলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসসভবন গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে সংবর্ধনা দেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এ সময় ঢাক-ঢোলের তালের তালে বিপুল করতালি, নানা স্লোগানে মুখরিত থাকে পুরো সংবর্ধনা রুট। নেতাকর্মীদের হাতে হাতে ফুলের তোড়াসহ নানা ধরণের ব্যানার, ফেস্টুন এবং বেলুনও শোভা পায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও হাত নেড়ে রাস্তার দু’পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা নেতাকর্মীদের সংবর্ধনার জবাব দেন।
এর আগে সন্ধ্যা ছয়টা ৪২ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইনসের বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বিষয়টি সংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
বিমানবন্দরে মন্ত্রিসভার সদস্যরা তাকে স্বাগত জানান।
বিমান থেকে নেমে আসার পর প্রথমে সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী প্রদানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।
এ সময় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক ও জন প্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সটি করপোরেশনের দুই মেয়রসহ সরকারের বিভিন্ন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী একে একে সবার সাথে কুশল বিনিময় করেন। পরে তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনের উদ্দেশে রওয়ানা করেন। সাতটার পর পরই তিনি গণভবনে পৌঁছেন।
প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরকে স্বাগত জানানোর জন্য পথে পথে আওয়ামী লীগ নেতাদের ছিল উপচে পড়া ভিড়।
রাস্তার দুই ধারে দঁড়িয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এ সময় নানা স্লোগান দেন তারা। প্রধানমন্ত্রীও হাত নেড়ে এর জাবাব দেন।
বিকেল পাঁচটা ২০ মিনিটে তাকে বহনকারী বিমানটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা থাকলেও দুবাইয়ে যাত্রবিরতিতে সময় বেশি নেয়ায় প্রায় দেড় ঘণ্টা বিলম্বে বিমানটি অবতরণ করে।
প্রধানমন্ত্রীর অবতরণ বিলম্বে হলেও তাকে অভ্যর্থনা জানাতে অপেক্ষমান নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরক্তির ছাপ ছিলনা। 
দুপুরের আগ থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ আশেপাশের জনপদ থেকে হাজার হাজার কর্মী অবস্থান নেন বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত সড়কে। ট্রাক, পিকআপ ও গাড়িতে করে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়েও আসেন কেউ কেউ। আবার কেউে আসেন হাতি ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে। সবার লক্ষ্য একটাই। প্রধানমন্ত্রী যাওয়ার পথে অভিনন্দন জানাতে চায় সবাই।
তবে সড়কে অবস্থান নেয়া নেতা-কর্মীদের চাপে ফার্মগেট থেকে মহাখালী পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গাড়িগুলো বিকল্প পথ দিয়ে মহাখালী হয়ে চলাচল করে। এতে শুক্রবার ছুটির দিনও এই পথে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। যাতে ভোগান্তিতে পড়েন ছুটির দিনে বের হওয়া মানুষ এবং পরীক্ষার্থীরা।
কানাডায় গ্লোবাল ফান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের ৭১তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী।
কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান, রাজনৈতিক, সামাজিক নেতাদের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জাতিসংঘের ৭১তম অধিবেশনে ভাষণ প্রদান এবং দক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনা ও বহুমাত্রিক অবদান স্বরূপ জাতিসংঘ পদক ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ এবং ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা দেয়ার ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগসহ ১৪ দল।

বিস্তারিত আরো  জানতে  নিচে ক্লিক  করু

https://www.blogger.com/home

Location: Bangladesh

0 comments:

Post a Comment