মার্কিন সরকারের হয়ে লাখো ব্যবহারকারীর ই-মেইল অ্যাকাউন্টে গোপনে নজরদারি চালিয়েছে ইয়াহু। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, নজরদারি চালানোর জন্য গত বছর একটি বিশেষ সফটওয়্যারও তৈরি করেছিল ইয়াহু।
এদিকে প্রযুক্তিবিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানটি রয়টার্সের প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে বলেছে, ইয়াহু আইন মেনে চলা প্রতিষ্ঠান এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত সব আইন মেনে চলে।
প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ইয়াহু জানিয়েছিল, হ্যাকাররা তাদের অনেক ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি করে নিয়ে গেছে।
এই অভিযোগ এমন তোলা হলো, যখন ৪৮০ কোটি ডলারের বিনিময়ে টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান ভেরাইজন কমিউনিকেশনের কাছে ইয়াহুর হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চরছে। এ ব্যাপারে টেলিসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ই-মেইল নজরদারির বিষয়ে ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ) অথবা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) অনুরোধ করেছিল। এ ক্ষেত্রে তিনটি সূত্র থেকে তথ্য পাওয়ার কথা উল্লেখ করেছে রয়টার্স। এর মধ্যে দুজন ইয়াহুর সাবেক কর্মী।
বার্তা সংস্থাটি বলছে, ওই বিশেষ সফটওয়্যার দিয়ে ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টে আসা সব ই-মেইলে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ের ব্যাপারে অনুসন্ধান চালানো হয়েছিল। রয়টার্স এটিও উল্লেখ করেছে, কী ধরনের তথ্য গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। একই সঙ্গে আরও কোনো ইন্টারনেট কোম্পানির কাছে এ ধরনের নজরদারির অনুরোধ করা হয়েছিল কি না, এ ব্যাপারেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মার্কিন আইন অনুযায়ী সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধ বা এ ধরনের কারণ থাকলে, সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর গ্রাহকদের তথ্য চাওয়ার অধিকার রয়েছে।
সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বৈদেশিক গোয়েন্দা নজরদারি আদালতে (ফরেন ইন্টেলিজেন্স সারভেইলেন্স কোর্ট) এ ধরনের আদেশের বিরুদ্ধে আপত্তি জানাতে পারে। তথ্য সূত্র: রয়টার্স ও বিবিসি অনলাইন
0 comments:
Post a Comment