সিলেটে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা বদরুল ইসলামের হামলায় আহত কলেজ শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি মস্তিষ্কে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়েছেন। তার বেঁচে থাকার অবস্থা শতকরা ৫ ভাগ। এ অবস্থায় চিকিৎসকরা তার চিকিৎসার ব্যাপারে তেমন কিছু তথ্য দিতে চাচ্ছেন না।
খাদিজা সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক (পাস কোর্স) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক।
মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক আবদুস সালাম বলেন, সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে অবস্থার অবনতি হলে খাদিজাকে সিলেট থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
খাদিজার পরিবার জানিয়েছে, অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে স্কয়ার হাসাপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
সোমবার এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে খাদিজাকে চাপাতি দিয়ে মাথায় উপর্যপুরি আঘাত করেন বদরুল ইসলাম। এতে গুরুতর আহত খাদিজাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে ঘটনার পর বদরুলকে আটক করে পুলিশ।
শাহপরান থানার ওসি শাহজালাল মুন্সি বলেন, সোমবার বিকাল পাঁচটার দিকে এমসি কলেজ কেন্দ্রে স্নাতক পরীক্ষা শেষে বের হলে খাদিজাকে কুপিয়ে জখম করে বদরুল।
উল্লেখ্য, সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের হাউসা গ্রামে মাশুক মিয়ার মেয়ে খাদিজা আক্তার নার্গিসের বাড়িতে লজিং থাকতেন শাবি শিক্ষার্থী বদরুল ইসলাম। তিনি ওই বাড়িতে থাকাকালে মেয়েটির কাছে প্রেম নিবেদন করেন। নার্গিস তার এই প্রেমের প্রস্তাব বারবার প্রত্যাখ্যান করেন। সোমবার বিকালে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর নার্গিসকে এমসি কলেজের মসজিদের পেছনের পুকুর পাড়ে চাপাতি দিয়ে উপর্যপুরি কোপাতে থাকে। এসময় জনতা বদরুলকে হাতেনাতে আটক করে।
0 comments:
Post a Comment