প্লুটোনিয়াম ধ্বংসের ক্ষেত্রে অঙ্গীকার পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হওয়া একটি চুক্তি স্থগিত করতে অধ্যাদেশে সই করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকার পূরণে ব্যর্থ হওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। আজ সোমবার বিবিসির খবরে এ কথা বলা হয়।
পুতিন স্বাক্ষরিত ওই অধ্যাদেশে বলা হয়, ‘রাশিয়ার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বৈরী আচরণ কৌশলগত স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।’ তাই ‘জরুরি নিরাপত্তাব্যবস্থা’ গ্রহণের জন্য ওই চুক্তি স্থগিত করা হলো।
২০০০ সালে হওয়া চুক্তির আওতায় রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ৩৪ টন করে প্লুটোনিয়াম ব্যবহার করবে। পারমাণবিক অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণের জন্য এ চুক্তি করা হয়েছিল।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যৌথভাবে ৬৮ টন প্লুটোনিয়াম ‘প্রায় ১৭ হাজার পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য যথেষ্ট’। উভয় দেশ ২০১০ সালে ওই চুক্তি পুনরায় অনুমোদন করেছিল।
‘আমরা দায়িত্ব পালন করেছি’
গত এপ্রিলে কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্লুটোনিয়াম ধ্বংসের ক্ষেত্রে তাদের অঙ্গীকার পূরণে ব্যর্থ হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র একটি পদ্ধতি ব্যবহার করে আবার প্লুটোনিয়াম পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করছে। উভয় দেশই উদ্বৃত্ত প্লুটোনিয়ামের সুযোগ-সুবিধা গড়ে না তুলতে সম্মত হয়েছিল।
গত এপ্রিলে কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্লুটোনিয়াম ধ্বংসের ক্ষেত্রে তাদের অঙ্গীকার পূরণে ব্যর্থ হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র একটি পদ্ধতি ব্যবহার করে আবার প্লুটোনিয়াম পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করছে। উভয় দেশই উদ্বৃত্ত প্লুটোনিয়ামের সুযোগ-সুবিধা গড়ে না তুলতে সম্মত হয়েছিল।
ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু আমাদের মার্কিন অংশীদারেরা তা করেনি।’
তবে, যুক্তরাষ্ট্র ওই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটি বলছে, তারা চুক্তি লঙ্ঘন করেনি।
তবে, যুক্তরাষ্ট্র ওই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটি বলছে, তারা চুক্তি লঙ্ঘন করেনি।
সিরিয়ায় রাশিয়ার বোমা হামলার ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্র ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে বর্ণনা করা পরই চুক্তি স্থগিতে রাশিয়ার ওই ঘোষণা এল। বিদ্রোহীদের দমনে রাশিয়া সিরিয়ার সরকারি বাহিনীকে সাহায্য করছে। ওই বিদ্রোহীদের কেউ কেউ যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত।
0 comments:
Post a Comment